আপনি কি ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন? অথবা আপনার পরিচিত কেউ এই সমস্যায় আছেন? ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি স্লিপ অ্যাপনিয়া নামে পরিচিত। এই অবস্থায় ঘুমের সময় শ্বাস-প্রশ্বাস বারবার থেমে যায়। এতে শরীরে অক্সিজেনের অভাব হয়। এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। এই লেখায় আমরা আলোচনা করব, ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ কেন হয় এবং করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
রাতে ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ কেন হয়?
ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হওয়ার প্রধান কারণ হলো স্লিপ অ্যাপনিয়া। এটি একটি সাধারণ ঘুম-সম্পর্কিত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যাধি। স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে ঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস কিছুক্ষণের জন্য থেমে যায়। এরপর আবার শুরু হয়। এটি কয়েক সেকেন্ড থেকে এক মিনিটের বেশি সময় ধরে চলতে পারে। প্রতি রাতে অনেকবার এমন ঘটনা ঘটে।
ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হওয়া মূলত দুই প্রকারের হয়। কারণ ভিন্ন হলেও উভয়ের পরিণতিই মারাত্মক হতে পারে।
১. অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (Obstructive Sleep Apnea – OSA): সবচেয়ে সাধারণ প্রকার
কী ঘটে: ঘুমের মধ্যে আমাদের গলার পেছনের মাংসপেশি, জিহ্বা এবং নরম তালু (soft palate) শিথিল হয়ে যায়। যাদের OSA আছে, তাদের ক্ষেত্রে এই মাংসপেশিগুলো এতটাই শিথিল হয়ে পড়ে যে তা শ্বাসনালীর পথকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে বন্ধ করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, একটি নরম প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে বাতাস টানছেন। যদি পাইপটি চ্যাপ্টা হয়ে যায়, তবে বাতাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের শ্বাসনালীর ক্ষেত্রেও ঠিক তাই ঘটে।
ফলাফল: আপনি শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করলেও বাতাস ফুসফুস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যায়। মস্তিষ্ক এই বিপদ সংকেত পেয়ে আপনাকে মুহূর্তের জন্য জাগিয়ে তোলে যাতে শ্বাসনালী পুনরায় খুলে যায়। এই ঘটনাটি প্রতি রাতে বারবার ঘটতে পারে, যা আপনার গভীর ঘুমকে নষ্ট করে দেয়।
২. সেন্ট্রাল স্লিপ অ্যাপনিয়া (Central Sleep Apnea – CSA): মস্তিষ্কের সমস্যা
কী ঘটে: এই ক্ষেত্রে শ্বাসনালীতে কোনো বাধা থাকে না। সমস্যাটা হলো মস্তিষ্কের। আমাদের মস্তিষ্ক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী মাংসপেশিগুলোকে সঠিক সময়ে সংকেত পাঠাতে ব্যর্থ হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আপনার বাড়ির জলের পাম্পটি ঠিক আছে, পাইপলাইনও পরিষ্কার, কিন্তু যে সুইচ দিয়ে পাম্প চালু হয়, সেই সুইচটাই কাজ করছে না। মস্তিষ্ক হলো সেই সুইচ।
ফলাফল: মস্তিষ্ক থেকে সংকেত না আসায়, আপনার শরীর শ্বাস নেওয়ার কোনো চেষ্টাই করে না। কয়েক সেকেন্ড পর, মস্তিষ্কে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা মস্তিষ্ককে পুনরায় সংকেত পাঠাতে বাধ্য করে এবং আপনি শ্বাস নেন। এটি সাধারণত হার্ট ফেইলিউর, স্ট্রোক বা নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে হতে পারে।
রাতে ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হলে কি হয়?
স্লিপ অ্যাপনিয়াকে অবহেলা করার পরিণতি হতে পারে অত্যন্ত গুরুতর এবং সুদূরপ্রসারী। রাতের ঘুম বারবার ব্যাহত হওয়ার কারণে এর প্রথম ও সুস্পষ্ট প্রভাব পড়ে দিনের বেলায়। শরীর ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্ত থাকে এবং সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব অনুভূত হয়, যার ফলে কর্মক্ষেত্রে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এর ক্ষতি শুধু দিনের ক্লান্তিতেই সীমাবদ্ধ থাকে না।
ঘুমের মধ্যে প্রতিবার শ্বাস বন্ধ হওয়ার সময় শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়, যা সরাসরি হৃদপিণ্ডের উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে এবং ফলস্বরূপ উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। এই অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ পরবর্তীতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের মতো মারাত্মক হৃদরোগের কারণ হতে পারে।
এছাড়াও, স্লিপ অ্যাপনিয়া শরীরের ইনসুলিন ব্যবস্থাপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তৈরি করে। দিনের বেলায় তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকার কারণে গাড়ি চালানো বা ভারী যন্ত্রপাতি পরিচালনার সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। সর্বোপরি, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মেজাজ খিটখিটে হওয়া, বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগের মতো মানসিক সমস্যা দৈনন্দিন জীবনকে আরও জটিল করে তোলে।
ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ এর সমাধান ও করণীয় –
ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ সমাধান করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ কেন হয় ও করণীয় কী? এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করা হলো:
জীবনযাত্রায় আনুন কার্যকরী পরিবর্তন –
১. ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন:
অতিরিক্ত ওজন, বিশেষ করে গলার চারপাশে চর্বি জমা হলে তা শ্বাসনালীকে সরু করে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরের ওজন ১০% কমালেও স্লিপ অ্যাপনিয়ার তীব্রতা প্রায় ২০-৩০% কমে যায়। স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফল এবং প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান।
২. ঘুমের অবস্থান পরিবর্তন করুন:
চিৎ হয়ে ঘুমালে জিহ্বা এবং নরম তালু গলার পেছনের দিকে পড়ে গিয়ে শ্বাসনালী বন্ধ করে দেওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। পাশ ফিরে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। পিঠের পেছনে কয়েকটি বালিশ রেখে দিলে ঘুমের মধ্যে অজান্তেই চিৎ হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করা যায়।
৩. ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করুন:
অ্যালকোহল বা মদ্যপান গলার মাংসপেশিকে আরও শিথিল করে দেয়, ফলে শ্বাস বন্ধ হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ধূমপান শ্বাসনালীতে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং একে সরু করে ফেলে। ধূমপান পুরোপুরি ছেড়ে দিন। ঘুমানোর অন্তত চার থেকে ছয় ঘণ্টা আগে মদ্যপান বা অন্য কোনো ঘুমের ওষুধ গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
৪. নিয়মিত ব্যায়াম করুন:
ব্যায়াম শুধু ওজন কমাতেই সাহায্য করে না, এটি আপনার শরীরের মাংসপেশি, বিশেষ করে গলার মাংসপেশির টোন বা দৃঢ়তা বাড়াতেও সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ৩০ মিনিট করে দ্রুত হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার বা যেকোনো অ্যারোবিক ব্যায়াম করুন।
৫. স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন:
একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। এটি আপনার শরীরের জৈবিক ঘড়িকে (Biological Clock) ঠিক রাখতে সাহায্য করে। শোবার ঘরটি যেন অন্ধকার, শান্ত এবং আরামদায়ক তাপমাত্রায় থাকে তা নিশ্চিত করুন। ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন বা টিভির নীল আলো থেকে দূরে থাকুন।
কখন এবং কেন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন?
যদি আপনার সঙ্গী বলেন যে আপনি ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ করে দেন, অথবা যদি আপনার দিনের বেলায় অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব, সকালে মাথাব্যথা বা খিটখিটে মেজাজের মতো লক্ষণ থাকে, তবে একজন নাক-কান-গলা (ENT) বিশেষজ্ঞ বা মেডিসিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
ডাক্তার কী করতে পারেন?
আপনাকে সম্ভবত একটি পলিসমনোগ্রাফি (Polysomnography) বা স্লিপ স্টাডি করার পরামর্শ দেওয়া হবে। এটি একটি ব্যথাহীন পরীক্ষা যেখানে ঘুমের সময় আপনার মস্তিষ্কের তরঙ্গ, হার্টবিট, শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরণ, অক্সিজেনের মাত্রা এবং শরীরের নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করা হয়। এটি স্লিপ ল্যাবে অথবা ক্ষেত্রবিশেষে বাড়িতেও করা যেতে পারে। এই পরীক্ষার মাধ্যমেই নিশ্চিতভাবে বলা যায় আপনার স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে কি না এবং তা কোন প্রকারের ও কতটা তীব্র।
চিকিৎসা পদ্ধতি –
১) সি-প্যাপ (CPAP – Continuous Positive Airway Pressure):
এটি অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার সবচেয়ে কার্যকর এবং বহুল ব্যবহৃত চিকিৎসা। CPAP হলো একটি ছোট যন্ত্র যা একটি নমনীয় নল ও মাস্কের মাধ্যমে আপনার নাকে বা মুখে নিয়ন্ত্রিত চাপে বাতাস সরবরাহ করে। এই বাতাসের চাপটি একটি “বাতাসের স্প্লিন্ট” (Air Splint)-এর মতো কাজ করে, যা ঘুমের সময় আপনার শ্বাসনালীকে ভেতর থেকে খোলা রাখে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসকে নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সাহায্য করে।
২) ওরাল অ্যাপ্লায়েন্স:
যাদের স্লিপ অ্যাপনিয়ার তীব্রতা কম বা মাঝারি, অথবা যারা CPAP ব্যবহারে অসমর্থ, তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার বিকল্প।
এটি দাঁতের ডাক্তারের তৈরি একটি কাস্টম-ফিট মাউথগার্ডের মতো যন্ত্র, যা ঘুমের সময় মুখে পরে থাকতে হয়। এটি আপনার নিচের চোয়ালটিকে আলতো করে কয়েক মিলিমিটার সামনে এগিয়ে রাখে। এর ফলে জিহ্বার পেছনের অংশ শ্বাসনালী থেকে দূরে থাকে এবং বাতাস চলাচলের পথ খোলা থাকে।
এই যন্ত্র অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডেন্টাল স্লিপ স্পেশালিস্টের মাধ্যমে তৈরি করাতে হবে। বাজারে সস্তায় পাওয়া যায় এমন রেডিমেড যন্ত্র ব্যবহারে চোয়ালের ক্ষতি হতে পারে।
৩) সর্বাধুনিক প্রযুক্তি: হাইপোগ্লোসাল নার্ভ স্টিমুলেশন –
এটি স্লিপ অ্যাপনিয়ার চিকিৎসায় একটি যুগান্তকারী সংযোজন, যা একটি পেসমেকারের মতো কাজ করে। এই পদ্ধতিতে বুকের ত্বকের নিচে একটি ছোট যন্ত্র স্থাপন করা হয়, যা একটি তারের মাধ্যমে জিহ্বার গতি নিয়ন্ত্রণকারী হাইপোগ্লোসাল নার্ভের সাথে যুক্ত থাকে।
যন্ত্রটি আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের ছন্দ পর্যবেক্ষণ করে এবং শ্বাস নেওয়ার মুহূর্তে স্নায়ুকে একটি মৃদু সংকেত পাঠায়। এই সংকেত জিহ্বাকে টানটান করে সামনে এগিয়ে দেয়, ফলে শ্বাসনালী খোলা থাকে।
৪) সার্জিক্যাল সমাধান (Surgical Options):
সার্জারি সাধারণত তখনই বিবেচনা করা হয় যখন স্লিপ অ্যাপনিয়ার পেছনে নির্দিষ্ট কোনো শারীরিক বা কাঠামোগত কারণ খুঁজে পাওয়া যায় এবং অন্যান্য চিকিৎসা ব্যর্থ হয়।
UPPP (Uvulopalatopharyngoplasty): এই পদ্ধতিতে নরম তালু এবং আলজিহ্বার কিছু অংশ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়।
টনসিল বা অ্যাডেনয়েড অপসারণ: বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে, বড় আকারের টনসিল বা অ্যাডেনয়েড স্লিপ অ্যাপনিয়ার মূল কারণ হলে তা অপসারণের মাধ্যমে প্রায় শতভাগ নিরাময় সম্ভব।
চোয়ালের সার্জারি (Maxillomandibular Advancement): এটি একটি জটিল কিন্তু অত্যন্ত কার্যকর সার্জারি, যেখানে ওপরের ও নিচের চোয়ালকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সামনে এগিয়ে আনা হয়।
নাকের সার্জারি (Septoplasty): নাকের হাড় বাঁকা থাকলে তা সোজা করার জন্য এই সার্জারি করা হয়, যা নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাস নেওয়া সহজ করে এবং CPAP ব্যবহারে সুবিধা হয়।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs) –
১. ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হলে কি বিপদ হতে পারে?
হ্যাঁ, ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস এবং দিনের বেলা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে।
২. ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হওয়ার জন্য কোন ডাক্তার দেখাবো?
ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হওয়ার জন্য ঘুম বিশেষজ্ঞ (Sleep Specialist) বা পালমোনোলজিস্ট (Pulmonologist) এর সাথে পরামর্শ করা উচিত।
৩. স্লিপ অ্যাপনিয়ার জন্য সিপিএপি মেশিন দরকার কি না?
অনেক ক্ষেত্রে স্লিপ অ্যাপনিয়ার জন্য সিপিএপি মেশিন খুবই কার্যকর। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধের ঘরোয়া সমাধান আছে কি?
ওজন কমানো, পাশ ফিরে ঘুমানো, ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ করা এবং নাক পরিষ্কার রাখা কিছু ঘরোয়া সমাধান। তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
৫. ঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, এটি কি স্বাভাবিক?
না, ঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক নয়। এটি স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ হতে পারে এবং চিকিৎসার প্রয়োজন।
শেষ কথাঃ
ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ কেন হয়, এটি একটি গুরুতর সমস্যা। এর জন্য দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং সঠিক ডাক্তারি পরামর্শ মেনে চললে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যদি আপনার বা আপনার পরিচিত কারো মধ্যে এই লক্ষণগুলো দেখা যায়, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার স্বাস্থ্য আপনার হাতে।
বিঃদ্রঃ: এখানে দেওয়া তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে তৈরি। নিজের শারীরিক সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। স্বাস্থ্য সমস্যায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।